কলাপাড়ায় জনপ্রতিনিধিদের দুয়ারে দুয়ারে এক যুগ; তবুও জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা | আপন নিউজ

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
কলাপাড়ায় মাসব্যাপী তাঁত শিল্প মেলা উদ্বোধন সাংবাদিক জীবন কুমার মন্ডলের মৃত্যুতে শোকসভা গলাচিপায় পানিতে ডুবে যুবকের মৃ-ত্যু কাউনিয়ায় এশিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আইনি সহায়তা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজের দলে কোন জায়গা হবে না- প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান কুয়াকাটায় দুর্যোগে পূর্বাভাস-ভিত্তিক সংলাপ গলাচিপায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে নাগরিক কমিটির সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রেস বিফ্রিং অন্যভুবন সাহিত্য পরিষদ-এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও আন্তর্জাতিক গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় অর্ধশতাধিক অসহায় মানুষ পেল প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ মন্ডল’র পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন প্রতিমন্ত্রী
কলাপাড়ায় জনপ্রতিনিধিদের দুয়ারে দুয়ারে এক যুগ; তবুও জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা

কলাপাড়ায় জনপ্রতিনিধিদের দুয়ারে দুয়ারে এক যুগ; তবুও জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা

রিপোর্ট: জাহিদ রিপনঃ

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যদের দুয়ারে দুয়ারে এক যুগ ধর্না দিয়েও প্রতিবন্ধী ভাতা মেলেনি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের রফেজ আকন। আশ্বাসের পর আশ্বাসেও প্রাপ্তির ফলাফল শূন্য থাকায় হতাশ ষাটার্ধো এ মানুষটি এখন প্রতিবন্ধী ভাতার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। অচল দুটি পায়ে কুঠার নিয়ে ঘুরে বেড়ান মানুষের বাড়ী বাড়ী। কুঠার দিয়ে কাঠ চেরাইয়ে করে বর্তমানে চলছে তার সংগ্রামী জীবন। এ কাজ না পেলে রাস্তার পাশে কিংবা পতিত জমিতে জন্মানো শাক-সবজি তুলে বিক্রি করে যা আয়-রোজগার হয় তা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলছে সংসার।
রফেজ আকন জানান, তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র থাকাকালীন সময়ে বর্ষাকালে একদিন স্কুল ছুটি শেষে বাড়ী ফেরার পথে পা পিছলে পড়ে কোমড়ে ব্যাথা পেয়েছিলেন। অর্থাভাবে তার দরিদ্র পিতা চিকিৎসা করাতে পারেননি। প্রতিদিন দুর্বিসহ যন্ত্রনা হত। সপ্তাহ যেতে না যেতেই ব্যাথা বেড়ে যাওয়ায় সুদে টাকা এনে পিতা হামেদ আকন তাকে নিয়ে যায় উপজেলা সদর হাসপাতালে। অপারেশন করানো হলেও চিকিৎসা চালিয়ে যেতে না পারায় আস্তে আস্তে তার দুটি পা বাঁকা হয়ে যায়। অনেক বছর পর নিজ চেস্টায় বাঁকানো দু’পায়ে হাটতে পারলেও ফিরে পাননি আর স্বাভাবিক জীবন। শাররীক প্রতিবন্ধী হলেও বাবার মৃত্যুর পর জীবন ধারনের জন্য নেমে পড়েন শক্ত পরিশ্রমী কাজে। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, বয়স হয়েছে। এখন আর শরীর চলেনা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে রফেজ আকন বলেন, চেয়ারম্যান সুজন মোল্লার সময় প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন জমা দিয়েছি। এরপরের চেয়ারম্যান শিমু মীরার কাছে গেছি। মেম্বরদের কাছে গিয়েছি। অনেকে ভাতা পেলেও আমার ভাগ্যে জোটেনি।
কলাপাড়া উপজেলা সমাজ কল্যান কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের জন্য তালিকায় অর্ন্তভূক্তি করার এখতিয়ার কেবলমাত্র সংষিøস্ট ইউনিয়ন পরিষদের। তবে রফেজ আকন কেন এক যুগেও ভাতা প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত হলেন না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!